আপনি কি টরেন্ট সম্পর্কে জানতে চান?-2021

 

টরেন্ট যাদের এ সম্পর্কে ধারনা  নাই তাদের জন্য এই পোষ্টটি করা। ইউটরেন্ট বা বিট টরেন্ট এর নাম শুনলেই মনে হয়ে কোন ইনলিগ্যার কিছু। আসলে টরেন্ট কিন্তু প্রথমে এমন পাইরেটেড ছবি বা ভিডিওর জন্য তৈরি করা হয় নি। আসলে টরেন্ট তৈরি করা হয়েছিল ফাইল তাড়া তাড়ি ট্রান্সপারের জন্য।




এবার টরেন্ট সম্পর্কে জেনে আসা যাকঃ-

২০০১ সালে প্রথম টরেন্ট আবিষ্কার হয়েছিল। তার প্রথম নাম ছিল বিট টরেন্ট। আর তার মুল লক্ষ ছিল বড় ফাইল গুলো তাড়া তারি পেয়ার টু পেয়ার ডাউনলোড করা। মানে আমরা জানি কোন কিছু ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করলে তা কোন সেন্টার সারভার থেকে ডাউনলোড হয়।


সে ক্ষেত্রে যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ যখন এই ফাইলটি ডাউনলোড করে  তখন সারভার সেই লিমিটেশন সইতে পারে না বিধায় ডাউনলোড অনেক ধীরে হয় এবং একবার ডাউনলোড আটকে গেলে তা আর পুর্নরায় শুরু করা যায় না।  কিন্তু টরেন্ট করে কি যারা এই ফাইলটি আগে ডাউনলোড করেছিল তাদের সব গুলো কম্পিউটারকে এক একটি সারভার বানিয়ে ফেলে।


 এবং টরেন্ট সেই ফাইগুলো যে যে কম্পিউটারে উপস্থিত আছে সে সে কম্পিউটার থেকে ছোট ছোট অংশ করে ট্রান্সপার করে। এতে করে সেই লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার এক একটি জীবিত সারভার হয়ে যায়।



সহজে বলতে গেলে মনে করেন আপনার কোন একটা প্রতিবেশি আপনার প্রয়োজনীয় একটি ফাইল ডাউনলোড করে ছিল। আপনি যখন ডাউনলোড করতে যাবেন তখন আপনার প্রতিবেশি আপনার একটি সারভার হয়ে যাবে। আর আপনি ডাউনলোড করার পর সেই ফাইলটির জন্য আপনি একটি সারভার হয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে ফাইলটি আপনার কম্পিউটারে উপস্থিত হতে হবে।




টরেন্ট ক্লায়েন্ট বিভিন্ন রকম রয়েছে এর মধ্যে কয়েকটি হলোঃ-


১) ইউ টরেন্ট

২) বিট টরেন্ট

৩) কিউবি টরেন্ট

টরেন্টে ফাইল কিভাবে শেয়ার করবেন। টরেন্ট ফাইল শেয়ার করতে .torrent  ফাইলের শেষে লাগাতে হয়। এতে করে যদি কেউ টরেন্ট ফাইল শেয়ার করে আর তা যদি কেউ নিজের কম্পিউটারে কানেক্ট করে তাহলে সে ঐ কম্পিউটারের সাথে পুরো পুরি কানেক্ট করে থাকে। আর তৃতীয় কোন ব্যাক্তি যদি সেই ফাইলের সাথে কানেক্ট করে তাহলে আপলোড হওয়া ফাইল আবার ডাউনলোড হতে থাকবে।



টরেন্ট ছোট ছোট আকারে ট্রান্সফার হয়ে থাকে তাই তাকে বিট টনেস্ট বলে। তবে এখানে কানেক্ট হওয়া প্রত্যেকের এক একটি নাম আছে  যে ফাইলটি আপলোড করে তার নাম Seeder আর যে ডাউনলোড করে সে Leecher বা peer.তবে আপনি ডাউনলোডের পর যদি ফাইলটি ডিলিট না করেন তবে আপনি ডাউনলোডের পর থেকে যখন আপনার কম্পিউটারে এ ফাইলটি থাকবে। তখন অন্যরাও সেই ফাইলটি আপলোডের কারণে আপনি Seeder হয়ে থাকবেন। এরকম করে অন্য ২০ জন ব্যাক্তিরা যদি ফাইলটি ডাউনলোড করে থাকে এবং তা যদি কম্পিউটারে রেখে দেয় ডিলিট না করে তাহলে আপনার মতো তারাও সিডারে পরিনত হবে।



একটু এলোমেলো জিনিসটা তাই আরেকবার পরতে পারেন।  আসলে ফাইল ট্রান্সপারের ক্ষেত্রে গতি আনার জন্য টরেন্ট আবিষ্কার করা হয়। বড় বড় মুভি কোম্পানি তাদের মুভি ডাউনলোডের ক্ষেত্রে টরেন্ট ইউজ করে থাকে । কারণ টরেন্ট যত বড় ফাইলই হোক না কেন ডাউনলোডের ক্ষেত্রে আপনি যদি তা ডাউনলোড দিয়ে রাতে ঘুমিয়ে থাকেন আর পরে দিন ডিভাইস অন করলে দেখবেন তা অটোমেটিক রিজিউম হয়ে গেছে আর ডাউনলোড হচ্ছে। তাই তা থেকে ডাউনলোড সহজ বিশেষ করে বড় ফাইলগুলো ।



আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন জিনিসের প্রয়োজন রয়েছে। কারন আমরা যারা কম্পিউটার ইউজ করি তারা সাধারণত বড় ফাইল ডাউনলোড করতে অনেক সময় লাগে তবে তা টরেন্ট দিয়ে করলে বেশি সময় লাগে না । মনে রাখতে হবে টরেন্ট আমরা ভালো কাজে লাগাবো।



কিন্তু আজকে এর ব্যবহার বেশির ভাগ খারাপের দিকে যাচ্ছে। সবাই পাইরেটেড জিনিস ব্যবহার করতে এটিকে ইউজ করে। কারণ যেহেতু এটার কোন মেইন সারভার নাই তাই তার ব্যবহার করতে সহজ। সহজে যা চাই তাই এখান থেকে নিতে পারে।



তবে যারা মনে করে যে আমরা সবাই পাইরেটেড জিনিস ব্যবহার করবো না তাদের জন্য এই জিনিসটা কাজে দিবে। টরেন্ট ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি যে জিনিস টা ডাউনলোড করতে চান তাদের অনুমতি আছে কিনা । কারণ অনুমতি না থাকলে তা পাইরেটেড হয়ে যাবে।


আই হোপ আপনি পোষ্টটা বুঝতে পেরেছেন। আর যদি না পারেন তাহলে বলে রাখি আসলেই এটি এটি প্যাচানো জিনিস।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post