পৃথিবীতে নতুন যুদ্ধের নাম চিপ। চিপ মূলত ইল্কেট্রনিক ডিভাইস-2021

 

পৃথিবীতে নতুন যুদ্ধের নাম চিপ। চিপ মূলত ইল্কেট্রনিক ডিভাইসের হৃদপৃন্ড বলা যায় যা একটি integrated circite. যেমন আপনার ব্যবহৃত মোবাইলের সিমও একটি ধাতব চিপ। সবধরনের ইল্কেট্রনিক ডিভাইসে এই চিপ ব্যবহৃত হয়। চিপ ছাড়া আধুনিক জীবনের কথা মনে করা অসম্ভব। মোবাইল থেকে শুরু করে স্যাটেলাইট পযর্ন্ত সকল কিছুতে চিপের ব্যবহারে র‌য়েছে। 



বর্তমানে করোনা ভাইরাস মহামারির কারনে চিপের সটেজের ফলে ডিভাইস উৎপাদন বন্ধের পথে। চিপের সবথেকে বড় কাস্টমার হচ্ছে অটোমেকার ইন্ডাসট্রি । TOYOTA, BMW, HONDA, এর মতো লিডিং কোম্পানি বাদ দিয়েও প্রায় দুই হাজারের মতো আরো লিডিং কোম্পানি রয়েছে। একেকটা গাড়িকে রাস্থায় নামাতে দরকার হয় প্রায় তিন হাজারেরও বেশি চিপ। তারপর সবথেকে বেশি ব্যবহার হয় আমাদের সকলের হাতের নাগালে থাকা কম্পউটারে। তাছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে বিট কয়েনের কারণে কম্পিউটারে চিপের ব্যবহার আরো বেশি প্রায় কয়েক হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে।



এখন আসল কথায় আসা যাক। এতো প্রয়োজনীয় জিনিসের সটেজ হলো কি ভাবে ? করোনা ভাইরাস এর মূল কারণ। ২০২০ সালের এপ্রিলের পর থেকে যখন পুরো বিশ্বের কারখানাগুলো অচোল হয়ে গিয়েছিল। তখন এই চিপের কারণে সবথেকে বেশি লসের মুখে পড়েছিল অটো ইন্ডাসট্রি। তারা উৎপাদন করতে না পারায় চিপের অডার ক্যানসেল করে দিয়ে ছিল। এতে করে চিপের অডার না পাওয়ায় তারা তাদের কম্পানিতে চিপ উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।


 তাছাড়া ইলেক্ট্রনিক হার্ডওয়্যারের মধ্যে সব থেকে জটিল একটি পার্ট হলো চিপ উৎপাদন। ডিজাইন অনুযায়ী চিপ অন্য কোম্পানি উৎপাদনও করতে করতে পারে না। ডিভাইস অনুযায়ী প্রতিটি চিপ যেমন আলাদা তেমনি উৎপাদনের সকল ফেসিলিটিও আলাদা। সব থেকে বড় কোম্পানি চায়নার জন্য ছাড়া TSM অন্য কোম্পানী চিপ উৎপাদন করতে পারে না তাই অটোইন্ডাসট্রি থমকে দাড়ায়।



পৃথিবী জুড়ে মাত্র ৩১ টি কোম্পানি চিপ উৎপাদন করতে পারে। এর মধ্যে  একাই ৫৪ শতাংশ TSMC একাই উৎপাদন করে থাকে। আর তার পরে সব থেকে বড় কোম্পানি হলো Samsung। যারা একাই ২০ শতাংশ উৎপাদন করে। আর কোম্পানিগুলো মাত্র ২৬ শতাংশ চিপ উৎপাদন করে থাকে পুরো বিশ্ব জুড়ে।




 সহজ ভাবে বলতে গেলে এই দুই কোম্পানি চাইলেই উৎপাদন বন্ধ করে দিতে পারে বিশ্বকে অচল করে দিতে। একটি চিপের প্লান্টই তৈরি করতে ১২-১৫ মাসের বেশি সময় লাগে। তারপর চিপ উৎপাদন করতে আরো ১২-১৫ মাসের সময় লেগে যায়। চিপের একটি সেটের মধ্যে মিলিমিটারেরও ধুলি কণা থাকা যাবে না বিধায় এটি পৃথিবীর সব থেকে জটিল উৎপাদন ব্যবস্থা। সিলিকণের তৈরি প্যাল্টগুলো চিপ উৎপাদনের জন্য বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। যার নাম ওয়েফার। আর যে মেশিন দিয়ে উৎপাদন করা হয় তার নাম লিথগ্রাফ। এক একটি লিথগ্রাফির মেশিনের দাম হচ্ছে ২৫-১০০ মিলিয়ন ডলার পযন্ত।



সেই অনুযায়ী একটি চিপের প্লান্ট তৈরি করতে ৭-১৫ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হয় বিধায় এই কোম্পানি তৈরি করা যেকোন দেশের পক্ষে সম্ভব নয় । একটি উৎপাদন চালু করলে তা আর বন্ধ করা সম্ভব নয়। যদিও উৎপাদন বন্ধ করা হয় তাহলে ফের উৎপাদন করতে ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লেগে যায় সেটিকে আবার চালু করতে। এই উৎপাদনে বিদ্যুৎতের থেকে পানি বেশি ব্যবহৃত হয়।



তাই এই জটিল ফলাফল দেখে বুঝতে পারছেন এই চিপ উৎপদন আবার সাভাবিক হতে করোনা মহামারি এখন থেমে গেলেও ২০২৩ সাল লাগবে । সবথেকে বেশি চিপ উৎপাদন হয় এশিয়া মহাদেশে প্রায় ৮০% । আর সব থেকে বেশি চিপ ব্যবহার করে আমেরিকা। বিশ্বের ৪০% চিপ একার প্রয়োজন হয় আমেরিকার। এক্ষেত্রে চীনের হাতে আছে তাইওয়ান যারা চিপ উৎপাদন করে চীনের জন্য। এ কারণে আমেরিকা বিশ্ব নৈতীত হারাতে বসেছে। তাই আমেরিকা ভালো ভাবেই বুঝতে পারছে সেমিকন্ডেক্টার যার হাতে আগামী বিশ্ব তার হাতে।



তাই চীপ সটেজ একটি নতুন যুদ্ধের সূচনা করে দিয়েছে। তাই এই সটেজ রুক্ষতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৫০ বিলিয়ন ডলার Executive order সাইন করেছেন। যদিও আপনারা জানেন আগামী ৩ বছরেও তা সম্ভব নয়। তাই এই সময়তে আমেরিকা ১২০ বিলিয়ন ডলার লস করতে যাচ্ছে আগামীতে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post