মেমোরি কার্ডের সঠিক ব্যবহার-2021

 


মেমোরি কার্ডের ইন্টারনাল স্টোরেজ পরিমাণ কমিয়ে আনতে মেমোরি কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম।আপনি যাতে মোবাইল ডিভাইস সঠিকভাবে চালাতে পারি তাই তার ইন্টার্নাল স্তরেজ থেকে সবকিছুই আপনার মোবাইলে ট্রান্সফার করুন। তাই আজকে আমরা মেমোরির ব্যবহারের কিছু বিষয়ে আলোচনা করব আর বলব কিভাবে সঠিক ভাবে ব্যবহার করা যায়।

 

১) আপনার ডিভাইসে যত জিবি সাপোর্ট করে তার থেকে বেশি ব্যবহার না করা। অর্থাৎ আপনার মোবাইলে যদি 32 জিবি সাপোর্ট করে তাহলে আপনি এর থেকে বেশি আপনার ডিভাইস ব্যবহারের সক্ষম হলেও তা ব্যবহার না করা। পারলে তার অর্ধেক 32gb জায়গায় 16 জিবি ব্যবহার করা।

 

২) মেমোরি কার্ডকে পেনড্রাইভ হিসেবে ব্যবহার করবেন না। ডাটা আদান-প্রদানের জন্য অনেকেই এই ভুলটা করে থাকে। তবে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটা আপনার সব থেকে বড় ভুল। বিভিন্ন ডিভাইসে যখন ডাটা আদান-প্রদানের জন্য বিনয়ের মতো করেই মেমোরি ইনস্টল করা হয়। তখন সকল ডিভাইসের ক্ষমতা তা সহ্য করতে না পারে না বিধায় একসময় জবাব দিতে শুরু করে। তাছাড়া রয়েছে  সকল ডিভাইসের বিভিন্ন রকম ভাইরাস বা ভারী সফটওয়্যার গুলো। তাই পেনড্রাইভ হিসেবে ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন।

 

৩) অনেকেই আছি আমরা, যারা বিভিন্ন রকম ফাইল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে পিসিতে বা অন্য কোন ডিভাইসে মেমোরি লোড করার জন্য কার্ড রিডার ব্যবহার করি। কিন্তু এটাই ভুল, যদি আপনার ডিভাইসটি তে জরুরী ডাটা ট্রান্সফারক হিসেবে পরিণত করার প্রয়োজন পড়ে। তাহলে আপনি কার্ড রিডার এর পরিবর্তে ডাটা ক্যাবল ব্যবহার করতে পারেন। কার্ড রিডার নিজেই একটা ডিভাইস হওয়ার কারণে যেমন তার ওপরে কম্পিউটার চাপ পড়ে তেমনি কার্ড রিডারের চাপ পরে মেমোরির উপরে। তাই মনে রাখবেন এখন থেকে এক্সট্রা ডাটা ক্যাবল ব্যবহার করবেন। অনেক ডাটা কেবলই বাজারে পাওয়া যায় যা ইউএসবি ডাটাক্যাবল। অর্থাৎ এগুলোকে বানানো হয়েছে ডাটা ট্রান্সফারের সুবিধার জন্য।

 


৪) বারবার মেমোরি খোলা লাগানো না করা। অর্থাৎ মোবাইল থেকে খোলা এবং বিভিন্ন ডিভাইসের লাগানো এসব বন্ধ করা। কারণ বারবার মেমোরি ট্রান্সফার করলে ডাটা সেটাপ হতে ব্যাঘাত ঘটে। অর্থাৎ এতে করে মেমরির সমস্যা সৃষ্টির পাশাপাশি ডাটা হারিয়ে যেতে পারে। এমনকি মাঝে মধ্যে মেমারি খোলা লাগানোর জন্য মেমোরি কার্ড নষ্ট হয়ে যায়। এই কারণে আমরা এই কাজে ব্যবহার করতে নিষেধ করব যেন ইউএসবি ব্যবহার না করে। কারণ এতে করে মেমোরি খোলার প্রয়োজন পড়ে না। সহজে ডিভাইসের সাথে ইউএসবি ক্যাবল লাগিয়ে ডাটা ট্রান্সফার করা যায়। এটা যেমন ঠিক তেমনি আপনার জন্য অসুবিধা   সময় অপচয় রোধ করে।

 

৫) বার বার কার্ড ফরমেট করার প্রয়োজন হলে কম্পিউটারের বদলে মোবাইল দিয়ে ফরম্যাট করুন।মেমরি বানানো হয়েছে মোবাইল ডিভাইসের জন্য তাই কম্পিউটারের সহ্য করতে পারে না। শুধু ফরমেটিভ ক্ষেত্রে নয়। মেমরি কম্পিউটারের ব্যবহার না করে মোবাইলে ব্যবহার করবেন। অনেকে কার্ডন রিডার বা অন্যান্য রিডার ব্যবহার করে কম্পিউটারে ডেটা আদান প্রদানের ক্ষেত্রে মেমোরি ব্যবহার করে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি এক্সট্রা মেমোরি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ মেমোরির কোন গাইডলাইনস নেই। যেকোনো সময়ে মেমোরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার ডাটা সমস্যার সমাধান হবে না। উল্টো আরো সকল ডাটা মুছে যাবে। এই জিনিসটি খেয়াল রাখবেন।

 

আজকে আমরা যে জিনিস গুলো তুলে ধরলাম তা যদিও আপনার ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। আমরা কোন অ্যাপস  বিভিন্ন রকম রিকভারি সমস্যার কথা তুলে ধরে নি।  শুধু ব্যবহারের কথা তুলে ধরেছি। আপনি কিভাবে মেমোরি ব্যবহার করবেন এবং তা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত হবে তা আপনার উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ আপনার মেমরি যদি নষ্ট হয় এখন পুরোপুরি আপনি দায়ী। কারণ আপনি এই টিপসগুলো থেকে জানতে পারছেন ব্যবহারের উপর আপনার মেমরি নির্ভর করে। যদি পারেন তাহলে এই সকল টিপস গুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি তাও বিশ্বাস না হয় যাদের কোনো না কোনো দিন মেমোরি সমস্যা হয়েছে তাদেরকে একবার জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন। দেখবেন তার সমস্যাটি এই সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি। এবং হয়তোবা সে সমস্যার সমাধান জানেনা। তাই আপনি নিজেও জানিয়ে দিতে পারেন।

 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post