5 bad phone habits-Latest-2021-৫টি মোবাইল ব্যবহারের খারাপ দিক।

 বর্তমান যুগে মোবাইল ফোনের খারাপ অভ্যাসগুলোর কথা না বললে নয়।  তবে এখন  এই  অভ্যাস এর পরিমাণ এতটা হয়ে গেছে যে তা বলে শেষ করা যাবেনা কি আমার কোনো ধারনাই নেই। তবে আজ কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরব।  তার সমাধান আপনারা ছাড়া কেউ করতে পারবে না। তার মধ্যে থাকতে পারে মোবাইল ফোনের আসক্তি, মোবাইল ফোন অযথা ব্যবহার এবং ব্যবহার করে আপনি কি পেয়েছেন তার  সম্পর্কে?

 


 

১) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফেসবুক চেক করে ঘুমাতে যাবার অভ্যাস। আমার মতে আমরা যদি মোবাইল ফোনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার না করতাম। আর রিয়েল লাইফে যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যতবার ব্যবহার করেছি ততো বার শুধু আমাদের পাড়া প্রতিবেশীদের সাথে একবার করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতাম। তাহলে হয়তো আমাদের কোনো দিন মোবাইল ফোনের দরকারই পড়তো না।


এত বড় যোগাযোগ মাধ্যমে তৈরি হতো যে সমাজের একটা আমূল পরিবর্তন চোখে পড়তে শুরু করত। এমনকি দূর-দূরান্তে অবস্থিত আত্মীয়-স্বজন ছাড়া মোবাইল ফোন আমরা আর কোন কাজে ব্যবহার করতাম না।জরুরি খবরা-খবর আমরা আমাদের পাড়া-প্রতিবেশীর হাত থেকেই পেয়ে যেতাম এবং আমাদের জীবনটা এতো প্রযুক্তিগত খারাপ প্রভাব পারতো না।

 

 

২) খাবারের ছবি তোলা। রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করবে রাস্তায় চায়ের দোকান পর্যন্ত সব জায়গায় খাবারের ছবি তোলা এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা।  আমার কোন ধারণা নেই আসলে মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খাবারের ছবি তোলে কি বুঝাতে চায়। একবার চিন্তা করে দেখুন আপনি রোজা রেখেছেন আর তখনই আপনি ফেসবুকে গিয়ে যদি খাবারের ছবি দেখেন তখন আপনার কাছে কেমন লাগবে বা ইসলামিক দৃষ্টিতে সেটা কেমন দেখায়। 


আমার মতে খাবার ছবি না তুলে আপনি চাইলে রেস্টুরেন্ট এর সৌন্দর্য তুলে ধরতে পারেন। পরিবেশের সৌন্দর্য তুলে দিতে পারেন এতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু খাবার ছবি তোলা এখনতো ফ্যাশনে পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাই আমার মতে যদি সঠিক ইসলামের কথা বলেন তাহলে আপনি রোজা রেখে কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশ করা উচিত না।

 

 

৩) বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় মোবাইল ব্যবহার করা। আপনি তো রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন চায়ের দোকানে দেখবেন যখন বন্ধু-বান্ধবরা এই যুগে বসে আড্ডা দিতে শুরু করে। তখন নিজেদের মধ্যে কথোপকথন ব্যতীত মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে আর বন্ধুর সাথে এসে বসার কি দরকার নিজের বাসাতে বসেই তো ব্যবহার করতে পারে। আমরা বন্ধুদের সাথে কেন যোগাযোগ করি?  তাদের সাথে কেন দেখা করি? যাতে করে আমরা আমাদের সুখ-দুঃখ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারে।


এর মধ্যে যদি কেউ মোবাইল ব্যবহার করে আমাদের সাথে তার বন্ধুদের সাথে ভালোভাবে কথা না বলে তখন কেমন লাগবে।  আমাদের মধ্যে বর্তমানে এমন অনেক ফ্রেন্ড তৈরি হয়ে গেছে যারা বন্ধুদের সাথে কথা কম বলে আর সামনে এসে মোবাইল ব্যবহার করে। তার থেকে দ্বিগুন বেশি, আমরা তো এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তৈরি করে ফেলেছি। এখন নিজেদের মধ্যে যাও  যোগাযোগ ছিল তাও এখন হারাতে বসেছে।

 


৪) রাস্তাঘাটে হাঁটার সময় এসএমএস বিনিময়। আমরা মাঝে মাঝে অনেকেই রাস্তা ব্যবহার করার সময়ে এসএমএসের বিনিময় থাকি।আপনার কাছে আমার একটি প্রশ্ন। যদি আপনি যার সাথে এসএমএস বিনিময় করছেন তাকে যদি বলেন যে আমি এখন রাস্তায় আছি। আমি এখন এসএমএস করতে পারবো না তাহলে সে কি করবে? সে যদি আপনার প্রিয় মানুষ হয় তাহলে অবশ্যই বলবে যে তুমি একটি কোন গন্তব্যে পৌঁছে তারপর আমাকে এসএমএস করো।


আমরা তার মধ্যে অনেকেই এসএমএসটা করি  শুধুমাত্র যাতে দেরি হয়ে না যায় এবং যার সাথে মেসেজ করছি সে জন্য অপেক্ষা না করে। কিন্তু সে যদি প্রকৃত মানুষ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে রাস্তাঘাটে এস এম এস বিনিময় করতে বাধা দেবে। আর সেক্ষেত্রে যদি রিলেশনের কথা আশে। তাহলে আমি বলব আপনি আপনার পার্টনারকে চেক করে দেখতে পারেন সে কতটা মানবিকতা সম্পন্ন। আর বলতে পারেন আমি এখন এসএমএস বিনিময় করতে পারব না কারণ আমি এখন রাস্তায় হাঁটছি। উত্তরটা আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

 

 

৫) মোবাইল গেমিং। এটা এতটাই খারাপ যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে যখন বন্ধুদের সাথে দেখা করি। তখন মোবাইলের ভিতরে এই এই গেমগুলো খেলে থাকি। বর্তমানে দেশে লুডু খেলার প্রচলন রয়েছে। এই খেলা খেলতে গিয়ে খেলা নিয়ে অনেক হতাহতের খবর আমরা প্রায় নিউজে পড়ে থাকি। তাছাড়া বিভিন্ন রকম ভাইরাল গেম যেমনঃ পাবজি, ফ্রী ফায়ার এগুলো এতটাই খারাপ যে এর থেকে তো আপনি কিছু পাবেন না।


উল্টো এর পিছনে এমবি খরচ করে পাগলের মত গেমস খেলার জন্য অনেক যুবকরাই খারাপ পথে ধাবিত হয়েছে। কিভাবে ইন্টারনেটে টাকা জোগাড় করবেন এবং কিভাবে গেমিং এর ভিতরে গোলাগুলি করবে তার শিক্ষা পাচ্ছে। এগুলো বিদেশী দেশের লোকেরা শুধু তৈরি করে তারা কিন্তু খেলে না। এটা আমাদের মতো অশিক্ষিত মানুষদের জন্যই তৈরি করা। তবে আপনি খেলতে পারেন। খেলার মধ্যে কোনো বাধা নেই। কিন্তু তার মধ্যে একটি লিমিটেশন থাকা দরকার। আপনি প্রায় সময় খবর পত্রিকায় দেখে থাকবেন। ইন্টারনেটের খারাপ দিক সম্পর্কে। মানুষের কিভাবে এটির মধ্যে আসক্তির সৃষ্টি হয়েছে তার সম্পর্কে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post