SAMSUNG যা পৃথিবীর অন্যতম বড় কোম্পানি-2021

 

SAMSUNG যা পৃথিবীর অন্যতম বড় কোম্পানি । তা প্রথমে মুদি দোকান ছিল ভাবতেও অবাক লাগে যে তারা কতটা উন্নতি করেছে। Lee Byung Chul নামে একজন লোক কোরিয়ার ডেকু শহরে ১৯৩৮ সালে ৪০ জনের একটি কোম্পানি শুরু করে । তাদের মূল পন্য ছিল আলু, চাল , ডালের মতো পন্য। আর তারা তা বিক্রি করতে সেই লোক গুলোকে হায়ার করেছিল ।




তার পরবর্তীতে ৫০ শের দশকে শেষের দিকে রিটেইল ব্যবসা আর ইনসুরেন্স সুবিধার দিকে মুভ করে। ষাটের দশকে ইলেক্ট্রনিক ব্যবসা শুরুর মাধ্যমে তারা সত্তোরের দশকে প্রথম  তাদের নিজেদের তৈরি টিভি মার্কেটে আনে তা ছিল ১২” সাদা কালো টিভি। ১৯৮৩ সালে প্রথম তারা তাদের নিজেদের কোম্পানির নামে একটি কোম্পিউটার বাজারে আনে। তাতে ছিল চার মেগাহার্জ প্রোসেসর আর ৬৪ কিলোবাইট র‌্যাম তখন কার সময় সেটাই সুপার কোম্পিউটার ।



আপনারা স্যামসাং সম্পর্কে কি জানেন বা সাধারণ মানুষদের এই কোম্পানির আকার সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই। সেই দুই হাজার দশক থেকে চিপ উৎপাদনে স্যামসাংই প্রথম স্থান দখল করে আছে। তার মানে আপনি যে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করেন তার মধ্যে স্যামসাং এর চিপ থাকাটা কোন বড় ব্যাপার না।



১) তাছাড়া সবাই কোন না কোন দিন আইফোনের  নাম তো শুনেছেন। যা পৃথিবীর সব থেকে দামি মোবাইল গুলো একটি তার প্রায় বেশির ভাগ চিপ এবং বিভিন্ন হার্ডওয়ার স্যামসাং উৎপাদন করে থাকে।



২) স্যামসাংয়ের নাম তো শুনেছে কিন্তু এর অর্থ জানেন? কোরিয়ান ভাষায় এর অর্থ 3 Star . তাছাড়া তাদের লোগোটা দেখলে দেখবেন তার মধ্যে বেশ কিছু ফাকা জায়গা আছে। তার মানে তারা বোহির বিশ্বের সাথে ব্যবসা করতে আগ্রহী। সত্যি বলতে এই লোগোতেই তাদের ভবিষ্যৎ লোকান আছিল। যা এখন  আমরা ভাল ভাবে টের পাচ্ছি।



৩) এই কোম্পানিই সব থেকে বড় এলইডি, এলছিডি টিভি প্রস্তুত কারক। এমনকি আমরা পুরো বিশ্বে রাস্তায় লাগানো বিভিন্ন যে বড় বড় এডভাইটেসমেন্ট টিভিগুলো দেখি তার বেশ বড় অংশ স্যামসাং উৎপাদন করে থাকে। তার মানে বুঝতে পারছেন সব থেকে বড় ও কোটিপতি  দেশ গুলো তে স্যামসাংয়ের রাজত্ব।



৪) ১৯৯৫ সালে Fubu  নামের একটি কোলতিং ব্রান্ডে তারা প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে ছিল। যা সেই কোম্পানির সাফল্যের মুল কারণ। আর আজ সেই কোম্পানির বাজেট পৌছেচে ৬ বিলিয়ন ডলিারে। এতে করে বলতে পারেন স্যামসাং চাইলে যে কোন কোম্পানির ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে।



৫) সব থেকে অবাক করা বিষয় তাদের শ্রমিকের সংখ্যা। মোট ৮০ টি দেশে তাদের শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। যা প্রথিবীর সব থেকে বড় কোম্পানি Google, Apple Microsoft এই তিনটি কোম্পানির মোট শ্রমিকের থেকেও বেশি। তাহলে বলতে পারেন পুরো বিশ্বে তারা যেমন রাজত্ব করছে তেমনি অনেক পরিবারের সাহায্যকারী চালিকা শক্তি হয়ে দাড়িয়েছে।



এবার আসি তার আকার নিয়ে। আমরা তো আমাদের দৈনিক ব্যবহারের বিভিন্ন ডিভা্ইসে স্যামসাংয়ের উপস্থিতি দেখে থাকি। তবে তার বিশাল বাজার তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না। ‍পৃথিবীর প্রথম ১০৮ মেগা প্রিসাল ক্যামেরার মোবাইল বাজারে আনে স্যামসং । কোরিয়ার প্রায় ১৭% ইকোনমি পুরোপুরি স্যামসাংয়ের উপর নির্ভরশীল। ৮০ টি বিবিন্ন ব্যবসা তারা পুরো পৃথিবীর ৮০টি দেশে করে থাকে।



২০১৪ গননা অনুযায়ী স্যামসাংয়ের আয় ছিল ৩০৫ বিলিয়ন ডলার যেখানে গুগল ৬৬ বিলিয়ন ডলার আর অ্যাপল  ১৮৮ বিলিয়ন ডলার প্রজন্ত পৌছেছিল। এতে করে বুঝতে পারছেন স্যামসাংকে টক্কর দেওয়ার মতো কোম্পানি এখনো তৈরি হয়নি। স্যামসাং তাদের বাজার প্রসার করে বিশ্বাস ও যোগাতার ভীতিতে । অথার্থ তার প্রতিটি  শ্রমিক ক্রিয়েটিভ ও পরিশ্রমি।   



তাছাড়া অবাক করা বিষয় হলো বাংলাদেশের হযরত শাহা জালাল আন্তরজাতিক বিমান বন্দরের বদ্ধির টার্মিনাল স্যামসাংই তৈরি করবে। এছাড়া যদি বলি প্রথিবীর সব থেকে বড় বেল্ডিং কোনটি তাহলে আপনি বলবেন দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা যা স্যামসাং নির্মান করেছেন এবং মালয়শিয়ার টুইন টাওয়ারও।




তাছাড়া তারা যুদ্ধের অস্ত্র ট্যাংক সহ পেলেনের জেট ইন্জিনও তারা নির্মান করেন। পৃথিবীর সবথেকে বড় থিম পার্কও তারা নিয়ন্ত্রন করে থাকে। শুধু তাই নয় তাদের নিজস্ব স্যামসাং সিটিও রয়েছে। যাতে তারা তাদের শ্রমিকদের কাজে কোন অশুবিধা না হয়। এই ছিল স্যামসাংয়ের বেসিক ধারনা। এই আরটিক্যাল পড়ার পর যারা স্যামসাং মোবাইল ব্যবহার করে বা যারা স্যামসাংয়ের বিভিন্ন পন্য ব্যবহার করে থাকে তাদের স্যামসাং ইউজার হিসেবে গর্ব করা উচিত।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post