VPN কি? কেন, কোন কজে লাগে। জেনে নিন এর সুবিধা ও অসুবিধা-2022

 

VPN (Virtual Private Networks) হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে আপনি চাইলে যে কোন ওয়েব সাইট যেখানে প্রবেশ করা নিশেধ সেই ওয়েব সাইটেও ভিজিট করতে পারবেন।

তবে মনে রাখবেন তার কিছু সুবিধা অসুবিধা আছে।



আজ আমরা এর কিছু সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করবো । আর দেখবো কিভাবে ভিপিএন ব্যবহার করতে হয়। তার আগে ভিপিএন সম্পর্কে আমরা কিছুটা ধারণা নিতে পারি। ভিপিএন কি ? কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? প্রথমে বলে রাখি ভিপিএন এক ধরনের নেটওয়ার্কের মতো । যার সাহায্যে আপনি আপনার আইডেন্টিটি গোপন রেখে যে কোন নিসিদ্ধ সাইটে প্রবেশ করতে পারেন  ব্যবহার করতে পারেন , ডাউনলোড করতে পারেন।

তবে খেয়াল রাখবেন তার কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। তবে তার আগে তার সুবিধা গুলো জেনে নি।


১) সব থেকে বড় সুবিধা হলো যে কোন নিষিদ্ধ সাইটে আপনি আপনার পরিচয় গোপন রেখে প্রবেশ এবং আপনার ইচ্ছা অনুসারে কাজ করতে পারবেন। সেটা যে দেশ বা যত দুরের দেশই হোক না কেন।



২) নেট স্পিরিড বৃদ্ধ করতে  পারবেন। অনেকে বলে এটা ভয়া কথা । আসলে তা না তারা ভিপিএন এর সঠিক ব্যবহার করতে পারে না। কারণ ভিপিএন দিয়ে যে স্থানে নেট স্পিরিড কম শুধু সেই জায়গা গুলোতে নেট স্পিরিড বিদ্ধ পাবে। তবে যেহেতু বৃদ্ধি পাওয়া নেট স্পিরিড একটা নিদিষ্ট পরিমাণ হয় তাই যে স্থানের নেট স্পিরিড ভালো সে স্থানে ভিপিএন ব্যবহার করলে তেমন ফল পায় না তাই মনে হয় নেট স্পিরিড বৃদ্ধি পায়নি।

৩) আপনার পরিচয় লুকানো থাকবে। মনে করেন এমন একটি সাইট যেখানে সরকার বা সেই সাইট ওনার থেকে প্রবেশ নিষেদ্ধ সেই সাইটে চাইলেই আপনি ভিপিএন দিয়ে প্রবেশ করতে পারেন। তারা আপনার পরিচয় জানতে পারবে না। কারন আপনি যখন ভিপিএন ব্যবহার করেন তখন আপনার ডিভাইসের আইপি এ্যাড্রেস পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় জাম্প করতে থাকে বা শো করতে থাকে। 


মনে করেন আপনি বাংলাদেশ থেকে ভিপিএন দিয়ে কোন একটি সাইটে প্রবেশ করতে চচ্ছেন আর আপনি ভয় পাচ্ছেন যে , সরকার বা সেই সাইটের মালিক আপনাকে খুজে ফেলতে পারে। কিন্তু যেহেতু আপনি ভিপিএন ব্যবহার করছেন তাই আপনার ডিভাইসের আইপি এ্যাড্রেস কখন ভারত , কখন দুবাই, কখন নেদারল্যান্ড দেখাচ্ছে। 


তাই যদি কেউ আপনাকে খোজার চেষ্টা করেও সে বুঝবে না আপনাকে কোথায় খুজে পাওয়া যাবে। কারণ এমনও হয় আপনি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন কিন্তু আপনার আইপি এ্যাড্রেস বাংলাদেশে শো করছে না। এক্ষেত্রে বলে রাখি আপনি যদি না জানেন আইপি এ্যাড্রেস কি তাহলে যেনে নিন আইপি এ্যাড্রেস হলো আপনার ডিভাইসের নাম । যার সাহায্যে আপনার ডিভাইস খুজে পাওয়া আর আপনার সকল তথ্য সংগ্রহ করা যায়।



৪) ফ্রিরিতে ব্যবহার করা যায়। আপনি হয়তো যানেন যে অনেক ভিপিএন শুধু নেট কানেকশন দিয়ে ডাউনলোড করলেই চলবে। ভাল কিছু ভিপিএন হলোঃ- Terbo vpn, Super vpn এবং Master vpn ইত্যাদি ।



৫) টরেন্ট মুভি ডাউনলোড স্পিরিড বাড়ায়। কারণ মুভি ডাউনলোড তাও আবার টরেন্ট দিয়ে করলে অনেক দেরি হয়ে যায় কারণ একতো বড় ফাইল আবার তার উপরে টরেন্ট অনেক সোল। তাই টরেন্ট মুভি ডাইনলোডের সময় ভিপিএন কানেক্ট করে নিবেন।

এবার কিছু অসুবিধা সম্পর্কে জানা যাক।

যদিও এর অসুবিধা থেকে সুবিধা অনেক । তবুও অসুবিধা গুলো বেশ মারাত্বক।



১) বিভিন্ন ভাইরাসের সংর্স্পে আসা খুবই সহজ। আপনি নিশ্চই ভিপিএন ব্যবহার করে কোন নিরাপদ সাইটে ডুকবেন না । যেহেতু ভিপিএন ব্যবহার করছেন তাই আপনি এমন কিছু সাইটে প্রবেশ করবেন যা আপনার জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে । সেখানে থাকতে পারে বিভিন্ন মেলওয়ারের মতো মারাত্বক ভাইরাস । যা আপনার ডিভাইসকে অকেয করে দিতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন হ্যাকাররা আপনার তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। এবং আপনাকে ট্যাস করার মাধ্যমে আপনাকে খুজে পেতে পারে। কিন্তু আমি তো আগে বলেছিলাম আপনি ভিপিএন ব্যবহার করলে কেউ আপনাকে ট্যাস করতে বা খুজে পেতে পারবে না। তাহলে এখন আবার এই কথা বলাম কেন? সেটা আপনি ৩ নাম্বার ধাপে বুঝতে পারবেন।




২) বিভিন্ন খারাপ সাইটে প্রবেশ করা যায়। যেমন প্রোন সাইন, অস্ত্র বা হাতিয়ার বিক্রি করে এমন সাইটে ভুলে প্রবেশ করে আকশ্যন হতে বা ফেসে যেতে পারেন। আপনি যদি মনে করেন আমি এমন সাইটে ডুকবো না । তবে আমি বলে রাখি আপনি ডুকেন বা নাই ডুকেন কোন না কোন ভাবে সংস্পশে এসেছে যেতে পারেন কোন ব্যাপার না । কারন সব সাইটের সম্পর্কে যেমন আপনার ধারনা থাকবে না তেমনি আপনি একটিতে ক্লিক করলে আপনাকে অন্য সাইটে নিয়ে যেতে পারে।



৩) আসল সমস্যায় আসা যাক। আমি বলে ছিলাম আপনাকে কেউ ট্যাস করতে বা খুজতে পারবে না। কিন্তু সত্যি কথা বলতে পৃথিবীতে এমন কোন জিনিস নাই যা সম্ভব না । আপনি যেমনই ভিপিএন বা দেশে বসবাস করেন না কেন যে কেউ পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে আপনাকে খুজে ফেলতে পারে। আর তাদের হাত থেকে আপনার সরকারও চাইলে আপনাকে বাচাতে পারবে না । এখন বলতে পারেন এর কারন কি । তারা এমন কি করে যার কারণে তাদের হাত থেকে বাচা এবং তাদের খুজে বের করা সম্ভব না। যেহেতু আমি বলেছি সব সম্ভব তাই যদি খুজে বের করতেও পারেন তাও হয়তো সে আপনার দেশের না বা তার দেশের সরকার থেকে তাকে ধরতে সাহায্য নাও পেতে পারেন।  

এখন আসি তারা কোন ধরনে ডিভাইস ব্যবহার করে যাতে তারা এতো শক্তি শালী । আসলে তারা এই কাজ গুলো করতে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে । যা আপনার হাতের কম্পিউটার থেকে ৩০ গুণ বেশি শক্তিশালী। এই কম্পিউটার ক্রয় করতে লাইসেন্স লাগে আর সহজে তা ক্রয় করাও সম্ভব নয়। কারণ অনেক দেশে এটা এফর্ড করতে পারে না । আবার অনেক দেশে এ কম্পিউটার নেই। তবে আপনার এতো চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। আপনি শুধু খারাপ সাইট বা আপনি যে সাইট চেনে সে সাইট ছাড়া অন্য সাইটে প্রবেশ না করলেই তো হলো।



৪) এটা একটু মাথায় রাখবেন যে ভিপিএন অনেক দেশে লিগ্যাল না বরং ইলিগ্যাল। যেমন সৌদি আরব এমন বিভিন্ন দেশে । আপনি মনে করতে পারেন সরকার যদি খুজতে না পারে তাহলে জানবে কিভাবে? আসলে কথায় আছে দেয়ালেও কান আছে । আপনি বলবেন না তাই যে কেউ জানতে পারবে না এটা আপনার ভুল ধারণা।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post